মিলিটারি ট্রেনিং

মিলিটারি ট্রেনিং ও ভয়ঙ্কর শাস্তি সামরিক বাহিনীতে | Military Training

মিলিটারি ট্রেনিং: পৃথিবীকে শাসন করতে পারে সে দেশ যে দেশ সামরিক শক্তিতে এগিয়ে। ঠিক একারণেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়া হওয়ার পরেও বসগিরি কিন্তু আমেরিকা দেখায়। কারণ সামরিক শক্তিতে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এবং নাম্বার ওয়ান পজিসনে আছে আমেরিকা, এরপর দ্বিতীয় রাশিয়া, তৃতীয় চায়না, ৪র্থ ভারত, পাকিস্তান ১৫ তম এবং বাংলাদেশ রয়েছে ৪৫ নম্বর অবস্থানে। যাই হোক, আজ আমরা এই আর্মি ও মিলিটারিদের অদ্ভুত সব নিয়ম, লাইফস্টাইল ও শাস্তি সম্পর্কে জানব, যা আপনাকে অবাক করবেই।

মিলিটারি সেনাদের লাইফস্টাইল

সৈনিকদের ট্রেনিং এর ব্যাপারে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন পন্থা অনুসরণ করে। সব দেশের একটা নিজস্ব স্বকীয়তা রয়েছে। তেমনি চীনের এক মিলিটারি ট্রেনিং এ পুরুষ সেনাদের পুশ আপ এ আগ্রহী করে তোলার জন্য এবং বেশিক্ষণ ধরে পুশ আপ করার জন্য মেয়ে সেনাদের ব্যবহার করা হয়। মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে আছে তরুণীরা আর পুশআপ করছে পুরুষ সেনারা। এতে মেয়েরা ইতস্ত বোধ করলেও কিছু করার নেই কমান্ডার এর কমান্ড তো মানতেই হবে।

২ মিনিটে প্রসাব করতে করতে গোসল

আমরা সবাই জানি যে, সেনাবাহিনীতে প্রচুর ডিসিপ্লিন আছে। তারা সময় সম্পর্কে খুবই সচেতন। তাই গোসলের জন্য তাদের শুধুমাত্র তিন থেকে পাঁচ মিনিট বরাদ্দ দেয়া হয়। অনেকে হয়তো বলবেন প্রশাব করতেই তো দুই মিনিট চলে যায়। এজন্যই তো সেনাদের বলা হয় গোসল করতে করতেই প্রশাব সেরে ফেলা। বিষয়টা হাস্যকর লাগলেও এমনটাই করতে হয় সেনাদের।

সেনাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার

সময় বাঁচাতে আরও নানা ধরনের উপায় অবলম্বন করতে হয় সেনাদের। প্রতিটি সেনা তার ব্যাগে মেয়েদের সেনিটারি ন্যাপকিন রাখে। কথাটা শুনে অবাক লাগছে নিশ্চয়ই! অবাক তো হবারই কথা, কেন তারা ন্যাপকিন নিয়ে বেরোবে? আসলে স্যানিটারি ন্যাপকিন খুব ভালো অ্যান্টিসেপটিক।

তাই কোথাও চোট বা আঘাত পেলে এখানে স্যাভলন দিয়ে ব্যান্ডেজ করা বেশ সময়ের ব্যাপার। এজন্য সেনারা কাটা জায়গায় ন্যাপকিন লাগিয়ে দিয়ে টেপ দিয়ে বেঁধে দেয়। অনেক সময় ন্যাপকিন না থাকলে সেনারা ক্ষতস্থানে চিনি ছিটিয়ে দেয়। কারণ চিনির মধ্যে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে না।

পায়ে টেপ পেঁচানো

সৈন্যদের একটি বিষয়ে আমার খুব মায়া লাগে। প্রচণ্ড গরমে যখন তাদের বড় বড় বুট ভরা লাগে, তাও আবার অর্ধেক পা পর্যন্ত। ভাবতেই আমার গা ঘেমে যাচ্ছে। এই বুট তারা সব সময় পড়ে থাকে বলে পায়ের গোড়ালিতে ছাল বা চামড়া উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য সৈন্যরা জুতা পড়ার আগে টেপ দিয়ে পা মুড়িয়ে দেয়। এতে পায়ের ত্বক ভালো থাকে।

হিরার মত চকচকে বুট পালিস

আর সময় বাঁচাতে জুতা পালিশ এর সময় ত্মক ধরনের ক্রিম জুতায় লাগিয়ে তা আগুনে বা লাইটার দিয়ে তাপ দেয়। এতে জুতা হিরোর মত উজ্জ্বল ও চকচকে হয়। যেটা আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা পালিশ করলেও হবে না।

মিলিটারি ট্রেনিং

যাই হোক, সৈন্যদের লাইফ স্টাইল সম্পর্কে কিছুটাতো ধারনা পেলেন। এবার দেখে নেয়া যাক কিছু ভয়ানক ট্রেনিং এবং শাস্তি। যেগুলো দেখলে মিলিটারি বা সেনাবাহিনীদের প্রতি আপনার ভালোবাসা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

নাম্বার ওয়ানঃ Weight Shifting

শরীরের প্রতিটি মাসেল উত্তেজিত করার জন্য এবং মনোবল বৃদ্ধির জন্য ভারী বস্ত বা টায়ার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হয়।

নাম্বার টুঃ Trial by water

বরফের মত ঠান্ডা পানিতে সৈন্যদের চুবানো হয়। এটা করে কমান্ডার দেখতে চান যে, সৈন্যের সহ্যক্ষমতা কতটুকু। এখানে ফেল হলে মাশুল হিসেবে অনেক টেস্ট দিতে হবে।

নাম্বার থ্রিঃ Underwater training

সৈন্যদের হাত বেঁধে পানিতে ফেলে দেয়া হবে, 10 থেকে 15 বার পায়ে ভর দিয়ে উপরে উঠতে হবে।

এছাড়াও কাঁটাতারের নিচ দিয়ে যাওয়া, আগুনের সার্কেল থেকে লাফ দেয়া ইত্যাদি ভয়ানক সব ট্রেনিং রয়েছে যা আমরা পরবর্তী ভিডিওতে দেখব।

মিলিটারি সেনাদের ভয়ঙ্কর শাস্তি

চলুন এবার কিছু অমানসিক শাস্তি দেখে নেয়া যাক। যেগুলো সৈন্যদের নিয়ম ভঙ্গ কিংবা ব্যর্থতার জন্য দেয়া হয়।

এটা ভারতীয় ও বাংলাদেশের সৈন্যদেরকে শাস্তি দেয়ার একটা পদ্ধতি। মাথা দুপায়ের মাঝে সজোরে চেপে ধরা হয় এবং দু-তিনজন গায়ের জোরে ইচ্ছা মত পেটায়।

পচা নর্দমা যেগুলোর পানির গন্ধে বমি চলে আসে সেই দুর্গন্ধময় নর্দমায় সৈন্যদের ডুবে থাকতে হবে এবং এই ট্রেনিং এর এক পর্যায়ে মুখে কিছু ময়লা ঢুকিয়ে দেয়া হবে। একজন সৈন্য এ ব্যাপারে বলেন যে, সাত দিন ধরে কাপড় ধুলেও এই পানির দুর্গন্ধ যায় না।

এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতে সৈন্যদের গরমের সময় সূর্যের দিকে মুখ করে আধা ঘন্টা ভাই এক ঘণ্টা শুয়ে রেখে শাস্তি দেয়া হয়। আবার প্রচন্ড শীতে গলা ভর্তি ঠান্ডা পানির চৌবাচ্চা বা পুকুরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

আশা করি, সৈন্যদের এরকম কষ্টের মাঝে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার মূল্যটা বুঝব। এরা আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য কত কিছুই না করছেন৷ বিনিময়ে আমরা তাদের সাথে সম্মান দিয়ে অন্তত কথা বলতে পারি। তাদের অবর্তমানে তাদের পরিবারকে সাহায্য করতে পারি। আপনার আমার বাসার আশেপাশে এরকম অনেক পরিবার আছে, চলুন তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই সবাই। অন্যকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ায় উদ্বুদ্ধ করি।

লেখাটি ভিডিও মাধ্যমে দেখতে নিচে ক্লিক করুন-

ভিডিও ভালো লাগলে লাইক দিয়ে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনার মতামত কমেন্টে জানাবেন। আর অবশ্যই চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না যেন।

আরো পড়ুন- আত্মবিশ্বাসী হওয়া মানসিক শক্তির মানুষ হয়ে মনের সাহস বাড়ান

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *