স্কিল ডেভেলপমেন্ট বাড়ানোর উপায়

স্কিল ডেভেলপমেন্ট বাড়ানোর উপায় – দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল | Skill Development

স্কিল ডেভেলপমেন্ট বাড়ানোর উপায় – দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল: ইয়ালসকুল অফ ম্যানেজমেন্টের করা একটা রিসার্চ অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে বর্তমানে যে কম্পানিগুলো লিডিং পজিশনে রয়েছে। তাদের জায়গাগুলো কিছু এরকম কম্পানি দখল করে নিবে যেগুলোর নামও হয়তো আমরা কেউ শুনিনি। তাই এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজারে নিজের জায়গা ধরে রাখতে হলে আপনার দরকার ফাস্ট এডাপটেবল এবং ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা। আজকের এই ফাস্ট চেঞ্জিং বিশ্বে তথা কথিত কঠিন পথ অনুসরণ করে যদি কেউ নিজেকে আগে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্লান করে তাহলে সে ভুল করবে। তাই এই জীবন সমস্যার সমাধান হিসাবে Chris Griffrths এবং Melina Costi ‘র লেখা বই “THE CREATIVE THINKING HANDBOOK” থেকে আমি আপনার সাথে কিছু স্মার্ট আইডিয়া শেয়ার করতে চলেছি। আজকের এই লেখা থেকে শিখতে পারবেন যে, কিভাবে নিজের ক্রিয়েটিভিটিকে বাড়িয়ে তুলে আপনি এই টাপ প্রতিযোগিতায় নিজেকে সবসময় অন্যদের থেকে এককদম আগে এগিয়ে থাকতে পারবেন। তো চলুন, শুরু করা যাক।

স্মার্ট আইডিয়া নাম্বার ১: CREATIVITY IS THE NEW SUPERPOWER OF THIS ERA

অনেকের মত আপনারও হয়তো এই ধারনাটা থাকতে পারে যে, ক্রিয়েটিভিটি তো শুধু আর্টিস বা মিউজিশিয়ানদের দরকার পরে। কিন্তু আসলে আপনার প্রোফেশন যাই হোক না কেন, ক্রিয়েটিভিটি এমন একটা স্কিল যেটা আপনারও ডেভেলপ করা দরকার। যদি এই পৃথিবী এতো দ্রুত পরিবর্তন হতে না থাকতো তাহলে ক্রিয়েটিভিটির হয়তো অতটাও গুরত্ব থাকতো না। কিন্তু বর্তমানে প্রতি মূহূর্তে আমাদের নতুন নতুন সমস্যা ফেস করতে হচ্ছে। আর সেই নিত্য নতুন সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্যে দরকার হাইলি ক্রিয়েটিভ স্কিল। তাই ক্রিয়েটিভিটিকে এই যুগের সুপার পাওয়ার বলা চলে। ইনফ্যাক্ট ২০১৬ সালে ফিউচার অফ জবস রিপোর্টে “WORLD ECONOMIC FORUM” ক্রিয়েটিভিটি, ক্রিটিক্যাল থিংকিং এবং প্রবলেম সলভিং স্কিল এই তিনটা স্কিলকে ওয়ার্ক প্লেজে সফলতা পাওয়ার জন্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল হিসাবে ম্যানশন করেছে।

স্মার্ট আইডিয়া নাম্বার ২: STUBBORNNESS IS THE BIGGEST ENEMY OF CREATIVITY

১৯২০ সালে হেনরিফোর্ট একটা বিশাল বড় ধাক্কা খেয়ে এই লিছেনটি শিখেছিলেন। সেই সময় ইউএসএ তে যতগুলো গাড়ি বিক্রি হত তার মধ্যে ৬০% ছিল ফোর্ট কম্পানির গাড়ি। কিন্তু মার্কেটের চাহিদা আস্তে আস্তে বদলাচ্ছিল। লোকজন আরো আধুনিক এবং আরো বিভিন্ন রঙের গাড়ি কিনতে চাইছিলো। কিন্তু ফোর্ট খরচা কম রাখার জন্য শুধু মাত্র কালো রঙের গাড়ি এবং কিছু লিমিটেড ফিচার্সে সীমাবদ্ধ থাকার সিদ্ধান্তে অনর থাকেন। এমনকি তার কম্পানির একজন তার সিদ্ধান্ত যে কতখানি ভুল তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে একটা রিপোর্ট তাকে পেস করে।

তখন তাকে তিনি চাকরি থেকে বের করে দেন। তো তখন জ্যানারেল মটরস লোকে যেটা চাইছিলো সেই অনুপাতে গাড়ি বানাতে শুরু করেছিল। ফলে স্বাভাবিক এরপর হঠাতই ফোর্ট কম্পানির বিক্রি বিশাল পরিমানে কমে যাতে শুরু করে। অনেক সময় আমরা আমাদের পাস্ট নলেজ এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে একগুঁয়ে হয়ে পরি। ফলে এটা আমাদের নতুন তথ্যগুলো যাচাই করে দেখতে এবং নতুন পদ্ধতিগুলোকে ট্টেই করে করে দেখার ইচ্ছা একেবারেই মেরে ফেলে। কিন্তু যারা স্টাবেনেসের থেকে ক্রিয়েটিভিটিকে বেশি গুরত্ব দেন, তারাই বহুবছর একটানা নিজের জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম হন।

উদাহরণস্বরুপঃ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা প্রায় দুইশো বছর ধরে প্রিন্টেট এনসাইক্লোপিডিয়াস বিক্রি করে আসছিল। কিন্তু ঠিক সময় মতো যখন তারা দেখলো যে লোকে যখন তথ্য ডিজিটালই বেশি কনজিউম করছে। তারা তখন তাদের দুইশো বছরের স্টাকচার সম্পূর্ণ বদলে ফেলে নিজেদের ডিজিটালি রেইয়েনমেন করে ফেললো। তাই সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে না চললে আপনি কখনোই জীবনে এগিয়ে যেতে পারবেন না।

স্মার্ট আইডিয়া নাম্বার ৩: Understanding is the best friend of creativity.

যদি আপনি কখনো কোনো কৌতুহলী বাচ্চাকে নোটিশ করেন তাহলে আপনি দেখবেন তারা কেমন সবকিছুতে প্রশ্ন করে। ঠিক সেই কৌতুহলী বাচ্চাটার মত আপনি যখন জীবনে কোন সমস্যার সম্মুখীন হবেন তখন আপনি যত বেশি প্রশ্ন করবেন তত বেশি ভালোভাবে আপনি সেই সমস্যাটাকে বুঝতে পারবেন। আর যত গভীরে আপনি সমস্যাটাকে বুঝতে পারবেন তত বেশি ক্রিয়েটিভ ভাবে আপনি সেটাকে হ্যান্ডেল করতে পারবেন। তাই সমস্যার সম্মুখীন হলে যত বেশি সম্ভব কি কেন, কোথায়, কখন, কিভাবে এই শব্দগুলো ব্যবহার করুন।

শুনতে একটু কেমন লাগলেও ১৯৩০ সাল থেকে TOYOTA কোম্পানির এক্সিকিউটিভ এই রুলটাই ফলো করে আসছেন। তারা কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে এডলিস্ট পাঁচটা ধাপে কেন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বার করে সেই সমস্যাটা একদম গভীরে পৌঁছে গিয়ে তারপর সেটা সমাধান খোঁজার কাজ শুরু করেন। অনেকে দেখবেন সমস্যার কথা শোনার সাথে সাথে সমস্যাটাকে ভালোভাবে না বুঝেই চট করে একের পর এক সমাধান বলতে শুরু করে দেয়। কিন্তু এভাবে যে সমাধানগুলো বের হয় সেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন কাজের হয়না। কারণ কোন সমস্যা বেস্ট এবং ক্রিয়েটিভ কোন সমাধান বার করতে হলে, তার জন্য সমস্যাটাকে উপর উপর বোঝাটা যথেষ্ট না। আপনাকে গভীরে গিয়ে সমস্যাটাকে আগে বুঝতে হবে। সমস্যাটাকে বোঝার জন্য অনেক সময় হয়তো আপনাকে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গীও ধার হিসেবে নিতে হতে পারে। আপনার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে,

উদাহরণ স্বরুপঃ আপনার আইডল বা আপনার অফিসের কোনো কলিগ বা আপনার বউ বা আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার জায়গায় থাকলে, তিনি এই সমস্যাটাকে কিভাবে সমাধান করার কথা ভাবতেন। এভাবে ভেবেও কিন্তু আপনি নতুন কোনো চমৎকার উপায় খুঁজে পেতে পারেন। যাকে আপনি নিজের জায়গায় বসাচ্ছেন সেই মানুষটা সমস্যাটার সাথে যত বেশি আন রিলেটেড হবে তত বেশি আপনার জন্য ক্রিয়েটিভ কোন সমাধান খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

স্মার্ট আইডিয়া নাম্বার ৪: Freedom is the biggest facilitator of creativity.

পোস্টেড কোম্পানির পেরেন্ট কোম্পানির ত্রিএম এর একজন এমপ্লয়ই স্পেনসেস সিলভার যখন অ্যাক্সিডেন্টলী একটা ভীষণ দুর্বল আঠা বানিয়ে ফেলেন তখন তিনি সেটার কোনো কার্যকারিতাই ভেবে উঠতে পারেননি। কিন্তু কয়েক বছর পর প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার অর্থর ফ্রাই হঠাৎই এটা রিয়েলাইজ করেন, যে দু’টো জিনিস কে কোনরকম ড্যামেজ না করে টেমপোরারি জোড়া লাগানোর জন্য এই দূর্বল আঠাটা বেশি কার্যকরী হতে পারে। আর ঠিক এই ভাবেই পোস্ট ইটের জন্ম হয়। তাই যত বেশি আইডিয়া আপনি জোর করবেন, ততবেশি পোস্ট ইট নোটের মত একটা জ্যামস খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আপনার জন্য বাড়তে থাকবে।

আর যত বেশি স্বাধীনভাবে আপনি চিন্তাভাবনা করবেন ততবেশি আইডিয়া আপনি জোর করতে পারবেন। ঠিক এই কারণেই আপেলের মত বড় বড় কোম্পানিগুলি তাদের এমপ্লোয়িদের জন্য আলাদা করে টাইম সিডিউল খুঁজে বার করে রাখে, ফ্রিলি নতুন আইডিয়া বের করার জন্য। আর বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করতে পারার জন্য। যখন আপনার ফ্রিলী ওন্ডার করার সুযোগ পায় তখনই নতুন ক্রিয়েটিভ আইডিয়া সেখান থেকে জন্ম নেয়, আর এই ট্রিকটা বহু বিলিয়ান্ট লোকেরা এর আগে ইউজ করেছে। যেমন বিখ্যাত মিউজিক কমপোজার মুজার্ট তার কম্পোচট করা বিভিন্ন মেলেরিস গুলো লোং ওয়ার্কে ঘুরতে বেরিয়ে আবিষ্কার করেছিলেন। একই রকম আলবাট আইনস্টাইনের বিখ্যাত থিওরি অফ রিলেটিভিটি আবিষ্কার করতে পারার একটা বিশেষ ক্রেডিট দিয়েছিলেন। দিনেরবেলা ঘুমাতে ঘুমাতে দেখা তার একটা স্বপ্নকে। এছাড়া সমস্যাটাকে মেটাফোর দিয়ে রিপ্লেস করে বার বার বলেও কিন্তু অনেক সময় অনেক ক্রিয়েটিভ সমাধান মাথা থেকে বেরিয়ে আসে।

উদাহরণস্বরুপঃ আরও কাস্টমার যোগার করা যায় কিভাবে? এটাকে রিপ্লেস করে আপনি বলতে পারেন আরও মাছ ধরা যায় কিভাবে?

স্মার্ট আইডিয়া নাম্বার ৫: Emotion and logic both are needed to select the best ideas

ইউকে ইন্সটিটিউট অফ প্রাক্টিশনেরস ইন এডভারটাইজিং ডেটাবেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমোশনাল এডগুলি লজিক বেসড এড এর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেশি ইফেক্টিভ হয়। নিজেই ভেবে দেখুন না, কোন এডটা আপনার বেশি নজর কারবে। একটা ইন্সিওরেন্সের এড, যেটা দেখানো হচ্ছে যে কত অল্প মূল্যে আপনি ইন্সিওরেন্সটা পাচ্ছেন। নাকি অন্যা একটা ইন্সিওরেন্সের অ্যাডস যেখানে এটা দেখানো হচ্ছে যে ইন্সিওরেন্স না করিয়ে রাখলে, ভবিষ্যতে আপনার পরিবারকে কতখানি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

জীবনে আমাদের অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেখানে খুব ছোট,যেমন আজকে কোন জামাটা পরব থেকে অনেক বড় যেমন কোন কলেজে ভর্তি হবে সেটাও থাকে। আপনারা তো মনে হতে পারে, যে যে অপশনটা বেশি লাগছে তাকেই বেছে নেওয়া সব সময় ঠিক। কিন্তু আমাদের ইমোশনও অনেক সময় অনেক বড় রোলপ্লে করে যায়। ইনফেক্ট যদি আপনি ইমোশনকে টোটালি ইকুয়েশন থেকে বার করে দেন। তবে ডিসিশন মেকিং প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিভাবে, কীভাবে নিউরোসাইন্টিস এন্টোনিও ডেমাছিও এই বিষয়টি লক্ষ্য করেন। যখন তিনি এরকম মানুষদের নিয়ে গভেষনা করছিলেন।

যারা কোনো অ্যাক্সিডেন্ট অথবা রোগের কারণে, কোন ইমোশন অনুভব করার ক্ষমতা সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। আপনার হয়তো মনে হতে পারে, এই লোকেরা তাহলে নিশ্চয়ই লজিক এর উপর নির্ভর করে সমস্ত ডিসিশন নেবেন। কিন্তু দেখা গেছে, এরকম লোকেরা ছোট থেকে ছোট ডিসিশন নিতে গিয়ে হিমশিম খান। কারণ ইমোশন ছাড়া সম্পূর্ণ লজিকের ভিত্তিতে দেখলে সমস্ত অপশন গুলো একই মনে হয়। একটা থেকে অন্য বেটার মনে হওয়ার কোন জায়গায় থাকে না। তাই আপনার উচিত প্রতিটি আইডিয়াকে ইমোশন এবং লজিক দুটোর সঙে বিচার করা। যদি দু’দিক থেকেই আইডিয়াটা ভালো বলে মনে হয়। তবে সেটাকে একটা ভালো আইডিয়া বলা চলে।

স্মার্ট আইডিয়া নাম্বার ৬: Confidence and constant supply of creativity is the oxygen for ideas

১৫ বছর ধরে প্রায় ৫০০০ প্রোটোটাইপ তৈরি করার পর ফাইনালে জ্যামস ডাইছেন তার রেবুলেশনারি ডুয়েলস সাইক্লোন বেকল্যাস ভ্যাকিউম ক্লিনারটি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ওয়ার্ল্ড ডিসনী যখন প্রথম তার এ্যানিমেশন কোম্পানি শুরু করেছিলেন তখন সেটাকে ব্যাংকক্রাফট করে দিয়েছিল। এরপর তিনি প্রায় ৩০২ বার না শুনার পর ফাইনালি ডিসনি ওয়ার্ড সেট আপ করার জন্যে ফান্ডিং পেয়েছিলেন। যদি নিজের প্রতি কনফিডেন্স না থাকতো তাহলে এই আবিষ্কারকরা হয়তো প্রথমবার ব্যর্থতার সম্মুখীন হওয়ার পরেই হার মেনে নিতেন।

এমনকি সফলতা অর্জন করার পরও আপনাকে প্রতিনিয়তো ক্রিয়েটিভিটি কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে ইম্প্রুভ করতে থাকতে হবে। ঠিক যেমনটা ইতিহাসে অলটাইম বেস্ট সেলিং অ্যাপ অ্যাংরি বার্ডস এর ডেভেলপাররা করেছে। তারা প্রথমে কয়েক হাজার বার তাদের আইডিয়াটাকে ইম্প্রুফ করে করে তারপর গেমটা লঞ্চ করেছিল। এবং তার লঞ্চ হয়ে যাওয়ার পরও বিভিন্ন নতুন নতুন লেভেল এবং ভার্সন থেকে শুরু করে খেলনা বই এমনকি সিনেমা বানিয়েও তারা তাদের ইনোভেশনকে কন্টিনিউ রেখে গেছে। তাদের সফলতাই এটা প্রমাণ করে যে সফলতা পাওয়ার পরেও সেটাকে ধরে রাখতে পারার জন্য ক্রিয়েটিভ থিংকিং এর গুরুত্ব কতখানি থেকে যায়।

এবার যদি আমি এই পুরো বিষয়টাকে সামআপ করি, তাহলে বলব – আপনার হয়তো মনে হতে পারে, যে ক্রিয়েটিভিটি এমন একটা ট্যালেন্ট যেটা শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক মানুষই উপহার হিসেবে জন্মসূত্রে পেয়ে থাকে। কিন্তু আসলে আমরা যে কেউ চাইলেই নিজের ক্রিয়েটিভিটি কে বাড়িয়ে তুলতে পারি। কিভাবে স্বাধীন ভাবে ভাবতে হয় এবং সমস্যাটা একদম গোড়া থেকে বুঝে তার সমাধান খুঁজে বার করতে হয়। এই দুটো জিনিস শিখতে পারলেই আপনিও ক্রিয়েটিভ ভাবে সমস্ত জীবন সমস্যার সমাধান খুঁজে বার করতে পারবেন।

যেমনঃ এই বইয়ের লেখক বলেছেন, ক্রিয়েটিভ হওয়ার জন্য সবকিছু সম্ভব। এই মানসিকতা ধরে রাখা সবথেকে বেশি দরকার। যদি আপনি আপনার ক্রিয়েটিভিটিকে নেক্স লেভেলে নিয়ে যেতে চান তাহলে আমি আপনাকে ক্রিস গ্রেফিক এবং মেলিনা কস্টির লেখা “দ্যা ক্রিয়েটিভ থিংকিং হ্যান্ডবুক” এই বইটি পড়ার জন্য অবশ্যই রেফার করব।

সবশেষে আপনার কাছে একটা ছোট্ট অনুরোধ, যদি এই লেখাটা আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই লেখাটাকে এখনই আপনার প্রিয় জন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করুন। কারণ এই লেখাটা যত গুলো শেয়ার হবে আমি ভাববো ততজনকে আমি একটু হলেও সাহায্য করতে পেরেছি।

আরো পড়ুন- স্মার্ট ওয়ার্ক ও টাইম ম্যানেজমেন্ট কিভাবে করবেন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *